নাক ডাকা থেকে মুক্তির উপায়

, নাক ডাকা কি কোন রোগ? নাক ডাকা থেকে রেহাই পাবেন যেভাবে।

নাক ডাকা কি কোন রোগ?

নাক ডাকা কি কোন রোগ নয়। নাক ডাকা একটি রোগ এটি আমাদের ভুল ধারনা। তবে রোগের লক্ষন হতে পারে।

যারা নাক ডাকেন তাদের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণ। নাক ডাকা মানুষের কাছে কেউ ঘুমাতে চায় না। কারণ নাক ডাকার সময় পাশের মানুষের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। সবাই তাকে নাক ডাকা নিয়ে কথা শোনায়। তাই নাক ডাকা সমস্যা নিয়ে হাতুরি ডাক্তার এর কাছে গিয়েও সমাধান পাননি! বড় বড় লেখা " নাক ডাকা বন্ধ করুন মাত্র দুই দিনে, এক ফাইলই যথেষ্ট "পোষ্টার এ বিজ্ঞাপন দেখে  নানা ধরনের ওষুধ খেয়েছেন, ফল পাননি।

সাধারণত কতকগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ আছে। গবেষণায় দেখা গেছে , মধ্যবয়স্ক ৪০ শতাংশ পুরুষ ২০ শতাংশ নারী ঘুমের ভেতর নাক ডাকেনাক ডাকা বড় কোনো সমস্যা মনে না করা হলেও শারীরিক ও শ্বাসযন্ত্র সমস্যার কারনে মানুষ নাক ডাকতে পারে। ঘুমের ভেতর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথে কোনো বাধা এলে বাতাস শ্বাসযন্ত্র এ কম্পন সৃষ্টি করে। ফলে নাক ডাকা শব্দ হয়।

যেভাবে নাক ডাকা থেকে মুক্তি পাবেন।

ওজন কমানঃ

ওজন বেড়ে যাওয়ার ফলে গলার চারপাশে চর্বি জমা হয়। এর কারনে নাক ডাকা শব্দ হয়।ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করুন। ওজন কমানোর জন্য জিমে ভর্তি হতে পারেন।এছাড়া বাড়িতে বসেই নানা ধরনের ব্যায়াম করেই ওজন কমাতে পারবেন।ঘরে বসে ব্যায়াম করার জন্য ইউটিউবে সার্চ করুন হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন।

অ্যালকোহল,ঘুমের ওষুধ,মাদককে না বলুনঃ

ধুমপান,অতিরিক্ত এলকোহল ও ঘুমের ওষুধ সেবন করলে নাক ডাকা সৃষ্টি হয়। তাই ধুমপান,অতিরিক্ত এলকোহলকে এড়িয়ে চলুন।ধুমপান ও এলকোহল আমাদের শরীরের পেশীকে বিশ্রাম দেয় যার ফলে স্বাভাবিক কাজগুলো করতে বাধা পায় এতে নাক ডাকা সৃষ্টি হয়।মাদক সেবন করার ফলে দিন দিন নাক ডাকা বাড়তেই থাকে।

চিত হয়ে ঘুমাবেন নাঃ

অনেক সময় চিত হয়ে ঘুমালে জিব পেছনে গিয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করে দেয় তখন নাক ডাকা সৃষ্টি হয়।চিত হয়ে ঘুমানোর বদলে ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমান।যদি ডান দিকে ঘুমানোর অভ্যাস না থাকে তাহলে প্যান্টের পকেটে একটি টেনিস বল রাখুন এতে ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমাতে বাধ্য হবেন।এছাড়া সবসময় ডান দিকে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।কারন আমাদের প্রিয় নবী সবসময় ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমাতেন।এছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে,ঘুমানোর সময় ডান দিকে ঘুমানো উচিৎ।ঘুমানোর সময় মাথার নিচে কয়েকটা বালিশ দিয়ে ঘুমাতে পারেন কারন বুকের থেকে মাথা উচু করে ঘুমালে নাক ডাকা শব্দ কম হয়।

মশলা জাতীয় খাবার খাবেন নাঃ

অনেকেই মসলা জাতীয় খাবার পছন্দ করে।কিন্তু মসলা জাতীয় খাবার খেলে পেট নষ্ট হয়।মসলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চললে পেট ভালো থাকে এবং রাতের ঘুম ভালো হয় ফলে নাক ডাকা কমে যায়।তাই মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

পানি পানঃ

প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন এতে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠালো দ্রব্যগুলি দূর হয়ে যাবে ফলে নাক ডাকা কমে যাবে।এছাড়া পরিমাণমত পানি পান করা শরীর এর জন্য ভালো।প্রচুর পানি পান করলে দেহকে সুস্থ ওও সতেজ রাখবে।

শারীরিক ব্যায়ামঃ

শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম করুন। এতে দেহের পেশি ভালো থাকবে। অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না এতে শরীর এর ক্ষতি হবে।ব্যায়াম করার জন্য জিমে ভর্তি হতে পারেন।এছাড়া আপনার যদি সময় যদি কম থাকে তাহলে ঘরে বসেই ব্যায়াম করতে পারেন।বিখ্যাত ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবে সার্চ করলে হাজার হাজার ভিডিও পেয়ে যাবেন।ভিডি দেখেই ওজন কমাতে পারবেন।

সঠিক সময়ে খাবার খানঃ

ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘন্টা আগে খাবার খান এতে জেগে থাকা অবস্থায় খাবার হজম হয়ে যাবে।রাতে ঘুম ভালো হওয়ার পাশাপাশি নাক ডাকা কমে যাবে।প্রতিদিনের খাবার খাওয়া যেন প্রভাবিত না হয় এদিকে খেয়াল রাখবেন।
এছাড়া জন্মগত কারণে শ্বাসতন্ত্র সুরু হলে বা চোয়ালে কোনো সমস্যা,থাইরয়েড সমস্যা ও গ্রোথ হরমোনের আধিক্যজনিত রোগ ও শারীরিক গঠনের জন্যও নাক ডাকা সৃষ্টি হয়ে থাকে।
এছাড়া নাক,কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর কাছ থেকে চিকিৎসা নিন।এতে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হালকা ক্রেডিট: মায়া আপা।
পোষ্টটি আপনার প্রিয়জনদের জানিয়ে দিয়ে শেয়ার করুন। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url