কোন সময় কোন বিষয় পড়া উচিত

কোন সময় কোন বিষয় পড়া উচিত
কোন সময় কোন বিষয় পড়া উচিত

 কোন সময় কোন বিষয় পড়া উচিৎ? এ বিষয়ে কোনো নিদিষ্ট কোনো নিয়ম নেই!


তবে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা উচিৎ। যা তোমাকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

কোন সময় কোন বিষয় পড়া উচিত

এক নজরে বিস্তারিত 👇

  1. সকাল
  2. বিকাল
  3. রাত 
  4. শেষকথা
  5. ভিডিও 

সকাল


দিনের শুরু অর্থাৎ সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠে কঠিন বিষয় গুলো পড়ার চেষ্টা করবো।


কেননা সারা রাত ঘুমানোর পর সকালে আমাদের ব্রেন ক্লিয়ার থাকে। এ সময়ে ব্রেনে যাই দিবেন তাই নিয়ে নিবে।


সকালে মুখস্থ পড়া শেষ করার চেষ্টা করবে।

এ সময়ে দ্রত মুখস্থ হয়।


খুব সকালে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে  পড়তে বসে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।

অবশ্যই  ফজরের নামাজ আদায় করবে।


জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলে থাকেন যে,  যারা সূর্যের সাথে ঘুম থেকে উঠে এবং সূর্যের সাথেই আবার ঘুমাতে যায় তারাই জীবনে উন্নতি করে।


বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ঘুমায়।


এতে সময় নষ্ট হয়। অন্যদিকে সবচেয়ে বড় কথা হলো শারীরিক ক্ষতি।


অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে সারাদিনে ক্লান্তি বোধ হয় যা পড়াশোনা বা কাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।


মূলকথা হলো, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে পড়ার টেবিলে বসবে এবং মুখস্থ পড়া শেষ করবে।


বিকাল


সারাদিন ক্লাস, কোচিং, প্রাইভেট ইত্যাদি করতে করতে বিকাল চলে আসে।


এ সময়ে পড়তে বসতে মন একেবারেই চায় না।


বিকালে তুমি দুটি কাজ করতে পারো।

তুমি বিশ্রাম নাও, না হয় তুমি খেলাধুলা করো।


পড়াশোনার চাপে আমরা ভুলেই যাই আমাদের সাস্থ কথা।


বিকালে বিশ্রাম নিলে রাতে পড়াশোনা ভালো হবে।

অন্যদিকে খেলাধুলা করলে শারীরিক ব্যায়াম হবে।


বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন গেমে আসক্ত।

তারা বিনোদন হিসেবে অনলাইন গেমকেই বেছে নিয়েছে।


সত্যি কথা বলতে,আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কঠিন।

রাত


সকাল বিকাল এর পর আসে রাত। রাত আমাদের আল্লাহ দিয়েছে ঘুমানোর জন্য।


অধিকাংশ শিক্ষার্থী রাত জেগে পড়াশোনা করে। যা আমাদের স্বাস্থ্য এর পক্ষে ক্ষতিকর।


সর্বোচ্চ রাত ১০টা পর্যন্ত জাগলেই যথেষ্ট।


রাতে মুখস্থ পড়ার পাশাপাশি অংক করা যেতে পারে।

অন্যান্য বই গুলোও পড়বে।


রাতে দ্রত ঘুমিয়ে খুব সকালে পড়ালেখা করতে হবে।


মূলকথা হচ্ছে, যদি আমরা আমাদেরকে পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলেই আমরা সফল হতে পারবো। আমরা আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করবো, মন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে না।


মন অনেক কিছুই বলে তাই বলে কি মনকে সবকিছু দেয়া সম্ভব?


আশা করি, তুমি উপরোক্ত টিপস গুলো অনুসরণ করে সফল হবে ইনশাআল্লাহ। 


ভিডিওঃ




আরো পড়ুনঃ দিনে কয় ঘন্টা পড়া উচিত

আরো পড়ুনঃ পড়াশোনার জন্য কোন সময় ভালো

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url