পড়াশোনা করার সঠিক সময় কখন? পড়াশোনার জন্য কোন সময় ভালো জেনে নিন

পড়াশোনা করার সঠিক সময়
পড়াশোনা করার সঠিক সময়


যেকোনো কিছুর সঠিক সময় রয়েছে তেমনি পড়াশোনা করারও উপযুক্ত সময় রয়েছে।

সঠিক সময় পড়ালেখা করলে যেমন বাঁঁচবে সময় তেমনি সুস্থ সবল জীবন - যাপন করা যাবে।

কখন পড়াশোনা করার সঠিক সময়?


সকাল নাকি বিকাল নাকি সন্ধ্যা?

পড়ালেখা করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকাল। আপনি আমার সাথে একমত কিনা জানি না তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মনে করে উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকাল।

টেন মিনিট স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক তার ফেইচবুক গ্রুপে একটি Poll ক্রিয়েট করে।

সেখানে ৩টি অপশন ছিলো ভোরবেলা, রাত এবং সন্ধ্যা।

ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৭হাজার, ৪হাজার এবং ১হাজার।

কখন পড়াশোনা করার সঠিক সময়


কেন সকালে পড়াশোনা করা জন্য উপযুক্ত সময়?


সকালে বা ভোরবেলা পড়ালেখা করলে প্রচুর সুবিধা পাবে যা তুমি অন্য সময়ে পাবে না।

সারা রাত ঘুমানোর পর সকালে আমাদের ব্রেন ক্লিয়ার থাকে। এ সময়ে ব্রেনে যাই দিবে তাই নিয়ে নিবে। সকালে মুখস্থ পড়া শেষ করার চেষ্টা করবে। এ সময়ে দ্রত মুখস্থ হয়।

খুব সকালে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে  পড়তে বসে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ

অবশ্যই  ফজরের নামাজ আদায় করবে।

জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলে থাকেন যে,  যারা সূর্যের সাথে ঘুম থেকে উঠে এবং সূর্যের সাথেই আবার ঘুমাতে যায় তারাই জীবনে উন্নতি করে।
বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অতিরিক্ত ঘুমায়।

এতে সময় নষ্ট হয়। অন্যদিকে সবচেয়ে বড় কথা হলো শারীরিক ক্ষতি।
অতিরিক্ত ঘুমানোর ফলে সারাদিনে ক্লান্তি বোধ হয় যা পড়াশোনা বা কাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

ভোরবেলা পড়ালেখা করার সুবিধা 


  • সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ফজরের নামাজ আদায় করতে পারবে।
  • সুস্থ জীবন - যাপন করতে পারবে।
  • সময় বাঁচবে। কারণ সাধারণত যারা সকালে ঘুমায় তারা অতিরিক্ত ঘুমায়। যা সময়ের অবচয়
  • ভোরের আবহাওয়া পরিবেশ উপভোগ করতে পারবে।
  • ব্রেন দ্রুত তথ্য নেবে। যা অন্য সময়ের তুলনায় বেশি তথ্য নেবে। ইত্যাদি।  

সকালে ঘুম থেকে উঠার সহজ উপায়


আগের দিন রাতে পরিকল্পনা করতে হবে যে,যখন এলাম বাজবে তখনই এক লাফে ঘুম থেকে উঠবো। ১ সেকেন্ড দেরি করা যাবে না।
এমনকি আড়মোড়াও ছাড়া যাবে না। 

এই পদ্ধতি খুবই কাজের! ব্যবহার করে দেখতে পারো।

সবশেষে, 

একটি কথাই বলবো, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে ফরজের নামাজ তারপরে পড়াশোনা বা অন্যকিছু। 

আমাদের জীবনের প্রধান লক্ষ্যই হচ্ছে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্টি করা এবং তার ইবাদত করা।

প্রধান লক্ষ্য


বর্তমানে আমরা জ্ঞান ও দক্ষতার উপর প্রচুর জোর দিয়ে থাকি।

জ্ঞান ও দক্ষতা ভালো তবে আল্লাহর নাম নিয়ে, আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করলে দ্রুতই সফলতা পাবে ইনশাল্লাহ।

তো আশা করি তুমি এই আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়েছো। যদি আরো এরকম আর্টিকেল পেতে চাও তাহলে শেয়ার করো। যাতে করে আমি আরো অনুপ্রেরণা পাই। 

খোদা হাফেজ

ভিডিও





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url